“সেলিম-আলী” পর্ষদের নিরঙ্কুশ জয়

বিপুল প্রবাসি বাংলাদেশীদের অংশগ্রহনে উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল রবিবার প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকেই ভোটারদের আনাগোনায় মুখর হয়ে উঠে নিউ ইয়র্কের কুইন্স, ওজন পার্ক, ব্রুকলিন, ব্রঙ্কস ও জামাইকার ভোটকেন্দ্র গুলো। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ভোট গনণা শেষে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছে “সেলিম-আলী” প্যানেলের সদস্যরা। মোট ৫টি কেন্দ্রে ৫৮টি ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের মুল্যবান ভোট প্রদান করেন। ১৯ হাজারেরও বেশী ভোটার থাকলেও দিন শেষে ৫ কেন্দ্রের মাত্র ৯ হাজার ৩শত ২৪ জন ভোটার তাদের রায় প্রদান করেন।  একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এবারের নির্বাচনে ১৮টি পদের জন্য রুহুল-জাহিদ ও সেলিম-আলী প্যানেলের ৩৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

 

প্রাপ্ত ফলাফলে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আতাউর রহমান সেলিম (ভোট ৫২৮৯) নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রুহুল আমিন সিদ্দিকী (ভোট ৩৮২০), সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ মহিউদ্দিন দেওয়ান (ভোট ৫৪৯৪), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ফারুক চৌধুরী (ভোট ৩৪০৫), সহ সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ কামরুজ জামান (ভোট ৫৪৮০), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আমিনুল চৌধুরী (ভোট ৩৪০৯), সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আলী (ভোট ৫১৭৯), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাহিদ মিন্টো (ভোট ৩৮৭২), সহ-সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবুল কালাম ভুইয়া (ভোট ৫০৮৫), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সরওয়ার খান বাবু (ভোট ৩৮৬৪), কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন মফিজুল ইসলাম ভুইয়া রুমী (ভোট ৫২৪২), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নোয়াশেদ হোসেন (ভোট ৩৬২৬), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ডিউক খান (ভোট ৫২৩০), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাদী মিন্টো (ভোট ৩৬৩৯), সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অনিক রাজ (ভোট ৫০৬৯), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মনিকা রায় চৌধুরী (ভোট ৩৭২৭), প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক-রিজু মোহাম্মদ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত), সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ জামিল আনসারী (ভোট ৫২০৭), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নাদির আহমেদ আইয়ুব (ভোট ৩৫৮৮), সাহিত্য সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আখতার বাবুল(ভোট ৪৭৯৩), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রোমানা আহমদ (ভোট ৪০৫২), ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আশরাফ আলী খান লিটন (ভোট ৫০৯১), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আলমগীর হোসেন (ভোট ৩৬৮২), স্কুল ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান জিলানী (ভোট ৫০৩৪), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শাহনাজ হোসেন (ভোট ৩৭৯৪) এবং কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে মোহাম্মদ সিদ্দিক পাটোয়ারি (ভোট ৫১৫৮), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ রব মিয়া (ভোট ৩৮৪৭), হারুন চেয়ারম্যান(ভোট ৫২১৮), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ তাজু মিয়া (ভোট ৩৫৬০), আবুল কাশেম চৌধুরী (ভোট ৫১৫০), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ এন ইসলাম (ভোট ৩৬৩৫), জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী (ভোট ৫২১৪), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি একেএম রফিকুল ইসলাম ডালিম (ভোট ৩৭১৫), মনসুর আহমেদ (ভোট ৫১১৯), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো: সাইফুল ইসলাম (ভোট ৩৫৫৪) ও হাসান খান (ভোট ৫০৩৩)।

 

নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসএম জামাল আহমেদ জনি, কমিশনার মো: হাকিম মিয়া, মো: আনোয়ার হোসেন, মো: এ মান্নান,   মো: হেলাল উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান ও আলতাব চৌধুরী। উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে ৩টি, ব্রুকলীনে ১টি এবং ব্রঙ্কসে একটি কেন্দ্রে সকাল ৯টা রাত ৯টা পর্যন্ত মেশিনে ভোট গৃহীত হয়। ব্রুকলীন কেন্দ্রের বাইরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি-মারপিটের ঘটনা ছাড়া অন্য কোথাও কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির হয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল আহমেদ জনি এ সংবাদদাতাকে জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের আন্তরিক সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হলো। আমি সকল গণমাধ্যমের প্রতিও গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ভোট-যুদ্ধকে সাফল্যমণ্ডিত করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্যে।